সংবাদ শিরোনাম
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শিক্ষা সপ্তাহ’র উদ্বোধন ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরকে সম্প্রসারিত করে পরিকল্পিত নগরায়ন করা হবে: গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী মোকতাদির চৌধুরী এমপি কমলগঞ্জে শমশেরনগরে রেলপথ ঘেষে জমে উঠে অবৈধ পশুর হাট; দুর্ঘটনার আশঙ্কা নেটওয়ার্ক আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বাংলালিংক ও হুয়াওয়ের চুক্তি ডেঙ্গু ঠেকাতে সোমবার থেকে মাঠে নামছে ডিএনসিসি অবৈধভাবে ভারতে গিয়ে আটকে পড়া ১৩ বাংলাদেশী দেশে ফিরেছেন শেষ হলো সাহিত্য একাডেমির ৭ দিনব্যাপী “বৈশাখী উৎসব।। সচিব খলিল আহমদকে বৈশাখী উৎসব সম্মাননা প্রদান সরাইলে উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বিএনপির প্রার্থী তপু লস্কর নবীনগরে তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষে একজন নিহত ও আহত-৩।। আটক-৪ কমলগঞ্জে নিরাপদ সড়ক চাই’র আইডি কার্ড বিতরণ ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত

যতোদিন মাদ্রাসায় জাতীয় সংগীত গাওয়া না হবে ততোদিন সেগুলো খুলতে দেবেন না – মোকতাদির চৌধুরী এমপি 

যতোদিন মাদ্রাসায় জাতীয় সংগীত গাওয়া না হবে ততোদিন সেগুলো খুলতে দেবেন না – মোকতাদির চৌধুরী এমপি 

স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, আধুনিকতা, তথ্য প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানকে যারা সমর্থন করেন না তারাই রেলওয়ে স্টেশনে হামলা ও ভাংচুর করেছেন। যারা সুস্থ সংস্কৃতির মাধ্যমে মানসিক বিকাশ ও দেশ প্রেমিক প্রজন্ম চান না তারাই দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে হামলা ভাংচুর করেছে। তারাই পৌরসভা, ভূমি অফিস, সার্কিট হাউজ, সিভিল সার্জন অফিসে হামলা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। যারা গত ২৬,২৭ ও ২৮ শে মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধ্বংসাত্মক আক্রমণ করেছে তারা মুসলমান না। তারা হারিজি। এরা যুগে যুগে আধুনিকতার বিরুদ্ধে ছিলো। তারা মানুষের মৌলিক অধিকার বিনষ্টকারী। তারা কখনো প্রকৃত আলেম হতে পারে না। তারা আলেম নামের জালেম। আলী (রাঃ) কে যারা মুসলমান মনে করেনা, তারা যেমন হারিজি। তেমনি সাজিদুর রহমান ও মোবারক উল্লাহ সহ যারা সেদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি বেসরকারি স্থাপনায় হামলা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছেন, তারাও হারিজি।
মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১ টায় গত ২৮ মার্চ ২০২১ ইং তারিখে দুষ্কৃতিকারী কর্তৃক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের পুনঃসংস্কার শেষে শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রুহুল আমিন এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ও পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ কে এম সফিউল্লাহ, প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি।
সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের সাধারন সম্পাদক বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মনজুরুল আলম এর সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য জহিরুল ইসলাম ভুইয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব লোকমান হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এম এ এইচ মাহবুব আলম সহ আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, প্রিন্ট ইলেকট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীরা প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি উপস্থিত সুধীজনদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, আপনারা যদি স্বাধীনতাকামী ও স্বাধীনতার পক্ষের লোক হয়ে থাকেন তাহলে যতোদিন পর্যন্ত কওমী মাদ্রাসা গুলোতে জাতীয় সংগীত গাওয়া না হবে ততোদিন পর্যন্ত আপনারা কোন মাদ্রাসা খুলতে দেবেন না। তিনি বলেন, গত ২০১৬ সালের পরে আমরা যাদেরকে (কওমী আলেমদের) লালন পালন করেছি তারাই ২০১৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আক্রমণ করেছিলেন, ২০১৮ সালের পরে আমরা যাদেরকে লালন পালন করেছি তারাই ২০২১ ইং সালের ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধ্বংসাত্মক আক্রমণ চালিয়েছিলো। তাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আপনারা সতর্ক থাকবেন।
মোকতাদির চৌধুরী বলেন, হেফাজত নেতা মাওলানা সাজিদুর রহমান ও মুফতি মোবারক উল্লাহ এর নির্দেশে ও তাদের উপস্থিতিতে তাদের কর্মী সমর্থকরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যে তান্ডব চালিয়েছিলো তা কোন সভ্য সমাজ মেনে নিতে পারেনা। যে রকমটা আমিও মানতে পারিনি। কারণ, ইসলাম এসব জনদূর্ভোগ, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস, জনগনের জানমাল বিনষ্ট করা সমর্থন করেনা। সুতরাং হেফাজতিরা নিজেদেরকে ইসলামের হেফাজতকারী হিসেবে দাবী করেন। কিন্তু মানুষের জানমাল ধ্বংস করে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করে কিসের হেফাজত করেন তারা। তিনি বলেন, রেল স্টেশন, পৌরসভা, ভূমি অফিস, এসপি অফিস ও সিভিল সার্জন অফিস তো জনগণের জন্য কাজ করেন। এসব প্রতিষ্ঠান তো রাজনীতি করেনা বা করতেও পারেনা, কিংবা ইসলামের বিরুদ্ধেও কিছু বলতে পারেনা। তাহলে কেন তারা এসব প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে ধ্বংস করেছে। সাজিদুর, মোবারক উল্লাহ ও তাদের সমর্থকরা কি এসব প্রতিষ্ঠানে তাদের প্রয়োজনে যান না। মূলত তারা দেশের উন্নয়ন চান না, তারা দেশের জনগণের মঙ্গল চান না। তারা শুধু নিজেদের পকেট ভারি করতে চান।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Somoynewsbd24.Com